এলিয়েনরা যখন পৃথিবীর ধ্বংসাবশেষ পাবে, তখন তারা পৃথিবীর ইতিহাসে আজকের দিনটার গুরুত্ত্ব বেশ ভালো করে বুঝবেই। পৃথিবীকে রক্ষা করার আশা ক্রমশই কমছিল। আজ মোটামুটি শেষের দিকে যাত্রা শুরু হল। জানিনা, আর সামান্যও আশা আছে কিনা !
যে দেশটা সারা বিশ্বের ১৬% গ্রীন হাউস গ্যাস উৎপন্ন করে, বিশ্বের ২০% তেল খরচ করে, বিশ্বে মাথাপিছু energy consume করায় প্রথম, সেই দেশটাই আজ ঘোষণা করেছে, তারা নিজেদের Paris Climate Agreement থেকে সরিয়ে নেবে । এই Paris Agreement-এর মাধ্যমেই বিশ্বে fossil fuel ব্যবহার-করা বৃহৎ অগ্রণী দেশগুলি, নিজেদের fossil fuel consumption কমাবে বলে অঙ্গীকার নিয়েছিল। আমেরিকার জন্য সেই অঙ্গীকারটুকুর বাঁধনটাও আর রইলো না। মানে আবহাওয়া নিয়ে কোনোরকম আইনের বালাই নেই।
এর মানে Exxon Mobile, Chevron-এর মতো আমেরিকান কোম্পানিগুলি বিনা বাধায় প্রকৃতির ধ্বংসলীলা চালিয়ে যেতে পারে। অথচ গুগল, মাইক্রোসফট, স্পেস এক্স-এর মতো টেকনোলজি কোম্পানিগুলো প্রচুর চেষ্টা করেছিল, আমেরিকা যাতে Paris Agreement থেকে বেরিয়ে না যায়। যদিও এদের চেষ্টার খুব সৎ উদ্দেশ্যে ছিল না, কিন্তু সমস্যা এখন সেসবের বহু ঊর্ধ্বে চলে গেছে। তাই সেই উদ্দেশ্য নিয়ে এখানে বলছি না। যেখানে পৃথিবীটাই বাসযোগ্য থাকছে না, তো আর কোনো "ইসম"-এর কি-ই বা মানে !
শেষে বলি, পরবর্তী প্রজন্মকে পৃথিবীতে আনার আগে, বেশ ভালো করে একবার ভেবে নেবেন। কারণ আজ যা কিছু হচ্ছে, তার মূল আঁচটা ওরাই পেতে চলেছে, আমাদের কথা বাদ-ই দিন। কিন্তু পরবর্তী প্রজন্মের কথাই যখন উঠলো, তাই একটু আশার আলোর দিশা দিয়ে যাই। Massachusetts রাজ্য হিসেবে আজই ঘোষণা করেছে, দেশ যদিও Paris-এর চুক্তি মেনে না নেয়, তারা এই রাজ্যে ওই চুক্তি মেনে চলবে এবং renewable energy-এর ওপর জোর দেবে। তবে এই আশা, ঠিক যেন নিভতে থাকা প্রদীপের মতো, যার মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী।
No comments:
Post a Comment