Friday, September 30, 2016

Dhoni - Movie Opinion

যারা ধোনির ভক্ত তাদের লেখাটি অবশ্যই পড়তে *অনুরোধ* করছি। আর যারা anti-ধোনি, non-ধোনি বা politically correct, তারা সময় থাকলে পড়তে পা(রেন, রো, রিস)।

"Dhoni, you are in the 11.
....
All the best."

সত্যি কথা বলতে, ওপরের দুটো লাইন শোনা এবং তাদের নিয়ে কি বলা হচ্ছে, সেটা দেখতেই আমার যাওয়া। সেটা নিয়ে পরে বলছি।

মধ্যবিত্ত পরিবারের সাধারণ ছেলে থেকে ভারতের বিশ্বকাপ-জয়ী ক্রিকেট অধিনায়ক - সত্যিই বেশ রোমহর্ষক কাহিনী। সিনেমা দেখতে যাওয়ার আগে অন্তত বেশিরভাগ দর্শকের এই আশাই থাকবে। সাথে নীরজ পান্ডের ছবি, আগের প্রত্যেকটা সিনেমাই গড়পড়তা হিন্দি সিনেমার থেকে অনেক ভালো। কিন্তু এখানে এসেই ভুল হয়ে গেলো।

প্রথমত, সিনেমাটি অহেতুকভাবে বড়। ৩ ঘন্টা খুব বেশি লেগেছে।

দ্বিতীয়ত, সিনেমাটা বাজারি করতে গিয়ে প্রচুর প্রেমঘটিত ঘটনা ঢোকানো।

তৃতিয়ত, অনেক facts বলা হয়েছে, কিন্তু সেগুলোকে ঠিকঠাক connect করা হয়নি।

চতুর্থত, এতো বাজে graphics-এর কাজ আজকালকার দিনে আমি দেখিনি। এতো খারাপ ভাবে সুশান্তের মাথা morph করে অন্যের ঘাড়ে লাগানো হয়েছে যে খুবই খারাপ লাগে। তাও শেষের দিকে morphing উন্নত হয়।

মূলত এই চারটি কারণে এটা নীরজ পান্ডের অন্যতম খারাপ সিনেমা। তবে, সুশান্তের অভিনয় এবং ধোনিকে ছবিতে ফুটিয়ে তোলা অসাধারণ। আমার বহু আগে থেকেই সুশান্তকে হিন্দি সিনেমার অন্য mainstream অভিনেতাদের তুলনায় একটু বেশি বুদ্ধিদীপ্ত লাগে। এখানেও বেশ ভালো লাগলো, অন্য কেউ করতে পারতো বলে মনে হয় না।

এবার আসল কথায় আসা যাক। এই সিনেমা কেন হবে? কারণ ধোনি বিশ্বকাপজয়ী ক্যাপ্টেন, ধোনি ফাইনালে গিয়ে হারেন না। উনি মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে লড়াই করে উঠে আসেন, টিটির কাজ ভালো না লাগলে ছেড়ে দেন, "ভারত"-এর একশো কোটি মানুষের জন্য উনি সিনিয়র ক্রিকেটারদের ছেঁটে ফেলেন, উনি advertisement করেন smartly, উনি বাইক চালান তুমুলবেগে। এরকম মানুষই তো বাস্তবের হিরো থেকে পর্দায় হিরো হয়ে যান।

কিন্তু এসব মানুষদের হিরো দেখানোর জন্য controversy-কে ছেঁটে বাদ দিতে হয়, তাই সারা সিনেমা জুড়ে controversial কথাবার্তা হয়তো মেরেকেটে ১০ মিনিট। সেটা হয়তো একজন active player -এর ক্ষেত্রে আরো জরুরি।

আরো যা জরুরি পর্দার হিরো হতে, তা হল, অন্য কারোর achievement-কে focus না করে শুধু হিরোকে হিরো করে তোলা। সেটাও যথেচ্ছ পরিমানে হয়েছে। আমার কোনোটাতেই আপত্তির কোনো জায়গাই নেই। ফিল্মে তো এরকমই হয়।

কিন্তু একটা জায়গার কথা না বলে পারছি না। সেটা ওই একদম প্রথমের দুটো লাইনের জায়গাটা। তখন প্রচুর সত্যিকারের ক্রিকেট দেখতাম। তাই ম্যাচগুলো মোটামুটি ভালো মনে আছে। ওই ওপরের লাইন দুটো ধোনির ইন্ডিয়ান টিমের ক্যাপ্টেন, হোটেলের ফোনে ধোনিকে বলে। যখন ধোনি তার দ্বিতীয় সিরিজে পাকিস্তানের সঙ্গে খেলায় প্রথম দুটো ম্যাচ-এ রান পাননি, তার পরে এবং তৃতীয় ম্যাচের আগে। ধোনি তখন বুঝতে পারছেন না যে তাকে পরের ম্যাচে রাখা আদৌ হবে কিনা ! ছবিতে এরপরে দেখানো হয় যেন ধোনিকে এমনি-ই সেই ম্যাচে তিন নম্বরে নামানো হল। কিন্তু সেটা কি শুধুই দৈববলে হলো নাকি ধোনির তখনকার ক্যাপ্টেন-এর কোনো ভূমিকা ছিল ? যাই হোক, সেই ম্যাচেই ধোনি প্রথম একশো করেন।

যাই হোক, এই ফিল্ম শুধু ফিল্ম হিসেবে একদমই ভালো লাগার নয়, কিন্তু কিছু আবেগের সাক্ষ্মী। এটুকুই এটার থেকে পাওনা। আর ধোনি থাকলেন ধোনির জায়গায়, শুধু আরো একটু বাজারের হলেন। ধোনি legend, আমাদের যে legend-কে ভালো লাগে আমরা choose করে নিই, আমার ক্ষেত্রে সেটা ধোনির প্রথম ক্যাপ্টেনই। চিরকাল ছিল না, কিন্তু আছে, থাকবেও।

Thursday, September 29, 2016

বিদেশে থাকতে পুজো - Pujo while being abroad

গত কয়েক বছরে এই সময়টা মোটামুটি এরকমই। কিন্তু চারপাশের উত্তেজনা-টা উপেক্ষা করতে পারি না। একটা আলাদা গন্ধ, একটা আলাদা চিত্রকল্প আছে, এই সময়টার ।

অনেক ভেবে দেখেছি, আমার এই সময়টাকে ভাললাগা, সকলের ভালোলাগাতেই লুকানো। এতগুলো মানুষের একসাথে সুখী থাকা - তাদের সমস্ত দুঃখ ভুলে, জীবনের যন্ত্রণা ভুলে, পরিশ্রমের ক্লান্তি ভুলে, ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তা ভুলে - তাকে কুর্নিশ জানাতেই হয় ।

এই সময়টার মানে আমার কাছে - একরাশ নস্টালজিয়া। সেগুলোর কিছু কিছুতে ডুবে থাকতে যেমন বেশ লাগে, তেমনি কিছু কিছু আবার খুব আকর্ষণীয় নয়।

খুব ছোটবেলায় গাড়ি ভাড়া হত, সারাদিন হত ঘোরাঘুরি, সাথে থাকত বাড়ির বড়রা, রেস্টুরেন্টে মোগলাই-ও মনে পড়ে।
একটু বড় হতে বন্ধুদের সাথে হেঁটে ঘোরা, কল্লোলিনীকে চেনার সেই শুরু, নিজের মতো করে, ভীষণ ভিতর থেকে, গভীরভাবে। রাতের শহরকে মায়াবী হতে দেখাও শুরু হল, কখনও গাড়ির কাঁচের ভিতর থেকে, কখনও অচেনা টেম্পোর পিছনে খোলা, দমকা হাওয়ায়।

পরে নরম হাত ধরে ঘুরেছি, তখন এক অদ্ভূত দায়িত্ববোধ যেমন অনুভব করেছি, তেমনি প্রচুর মানুষের ভিড়ে ঘনিষ্ঠতার পরশ এক অন্যরকম ভাল লাগা দিয়েছে।

কিন্তু এসবের মাঝেও, আমার কাছে যা সব থেকে প্রিয়, সেটা ওই মেঠো গন্ধের, আপাত জাঁকজমকহীন আড়ম্বরটাই। কিছু খারাপ মুহূর্ত থাকলেও, আন্তরিকতা আর একাকীত্বের মিশেলে, এই অনুভূতি বোধ হয় তুলনারহিত।

একটা বিকেলের বৈঠকি-সম আড্ডা, মায়ের সাথে মামার আর আমার গান, রাতে বড়দের তাস খেলা, এবং পরের বছরগুলিতে আমাদের ধীরে ধীরে সেখানে যোগদান, অন্ধকার রাস্তা পেরিয়ে আলোর মণ্ডপে পৌঁছানো, দুপুরে সকলে একসাথে টেবিলে কতকটা এলাহী খাওয়াদাওয়া, অন্য গ্রামে ভ্যানে করে যাওয়া, আর যাওয়ার মাঝে জোনাকির আওয়াজের সাথে জেনেরেটরের শব্দের এক অম্লমধুর মেলবন্ধন - নাহ, আমার কাছে আনন্দ এই, তার গন্ধও এই ।
আমার জীবনে পুজো হয়ত বড় কিছু নয়, কিন্তু তার এই গন্ধগুলো, এই খুব সূক্ষ্ম অনুভূতিগুলো, তার সাথে জড়িয়ে থাকা মুহূর্তের আনন্দগুলো, এগুলোই হয়ত বলে যায়,

...
...
...

ফিরতে আমাকে হবেই।

মহালয়াটা কি টেকনিক্যালিটি মেনে নিয়ে আজ সন্ধ্যেবেলা এখন চালানো উচিত নাকি মনের শান্তনায় কাল ভোরে ? যদিও ওই কন্ঠ্যে যে কোনো সময়ই, যে কোনো জায়গায় শরৎ আর পুজোর আবির্ভাব হতে পারে...

Tuesday, September 13, 2016

বস্টনের সংগীত - Boston's Music

প্রত্যেক মাসের দ্বিতীয় মঙ্গলবার Cafe ৯৩৯ বলে একটা জায়গায় গায়ক-গীতিকার-সন্ধ্যা-জাতীয় একটা অনুষ্ঠান হয়, Berklee College of Music-এর উদ্যোগে। একজন faculty member থাকেন আর তাকে ঘিরে ৪-৫ জন ছাত্র। সকলেই গায়ক-গীতিকার-এবং-musician. কেউ বাজাচ্ছেন acoustic guitar, কেউ কীবোর্ড, কেউ হয়তো চেলো, কেউ বা বেস গীটার। একটা আলো আঁধারি পরিবেশ; নীল, লাল মৃদু আলো ঘরের বিভিন্ন দিকে জ্বলছে। musician-দের ঘিরে শ্রোতারা বসে আছে বা দাঁড়িয়ে আছে সারা ঘর জুড়ে।

মূলত blues, jazz, american folk ধরণের গান-বাজনা, unplugged এবং acoustic. শুধু যে সুরে সারা ঘরটা ভেসে যাচ্ছিলো তা নয়, কথাগুলোও যে খুব ভিতর থেকে আসা, তা বোঝা যাচ্ছিল। কিছু গান যেমন প্রেম এবং তার চলে যাওয়া নিয়ে, কিছু গান তেমনি সারা বিশ্বে মিলিটারি বাড়বাড়ন্ত নিয়ে। কান এবং মন দুটোরই যেন একসাথে শ্রান্ত ও সিক্ত হওয়া।

এখানের university join করার কথা যখন চিন্তা করছি, তখন বিভিন্ন জায়গার options-এর মধ্যে বেছে নিতে হতো। সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময়, Berklee College of Music-এর এখানে থাকাটা একটা ছোট্ট factor ছিল। শুধু জ্ঞান এবং বিজ্ঞান নয়, গানবাজনারও ভীষণভাবে শহর এটা। যখন প্রোগ্রামটা শুনে বেরোচ্ছি, রাস্তায় হাঁটার সময় অসংখ্য মানুষকে কোনো না কোনো একটা musical instrument নিয়ে যেতে দেখছিলাম। এর পরে যদি কোনোদিন এই শহরটারও প্রেমে পড়ে যাই, মনে থাকে যেন, যে তার শুরুটা এই দিনেই হয়েছিল।

Thursday, September 08, 2016

প্রত্যয় - Determination

Boston, 8-Sep-2016, 11:19 PM

একটা বিদ্যুৎ বয়ে গেলো
হৃদয় এফোঁড়-ওফোঁড় করে। 
মুহূর্তগুলো কেটে যাচ্ছিল,
অথচ মনে হচ্ছিলো, কেন যাচ্ছে ?
জানি, সময় থমকায় না,
কিন্তু বেগ তো কমাতে পারে।

প্রযুক্তির এই মহাবিস্ফোরণে,
বাস্তব কি একটু হোঁচট খায় না, 
তারও কি ইচ্ছে করে না
একটু জিরিয়ে, আলো-রূপ মাখার ?

এই জন্যেই লোকের অভিযোগ 
বাস্তবের পাষাণস্বরূপ মন নিয়ে।

কিন্তু চারিদিকে কোথাও যেন
অতীতও লুকোচুরি খেলছে।

আর তখনই উধাও হল 
হৃদয়ের সেই অপ্রত্যাশিত বিদ্যুৎ,
মনের মধ্যে ফেনিয়ে উঠলো
ভয়ের বড় বড় স্রোত।

সুন্দরের আকর্ষণের মায়া,
তার কাছে যাওয়ার ভয়ের কাছে তুচ্ছ।
এর থেকে বরং 
জীবন যেমন নৌকা হয়েছে,
কিন্তু তার মাঝি নেই,
তেমনই বয়ে যাক। 
নদীর পার দেখতে দেখতে
নৌকো হয়তো কোনোদিন 
সমুদ্রে পৌঁছবে 
সমস্ত উপনদী এড়িয়ে।

আর যদি তা না হয়,
তবে কোনো চরা পড়ে যাওয়া দ্বীপে 
পুরোনো বালিরাশির সাথে মিশে
পৃথিবীর বুকেই ফিরে যাবে।