Friday, June 23, 2017

অন্তরালে - Behind the scene

বিছানা-বালিশ-আদর ছাড়তে দিওনা আমায়,
টেবিল ফ্যানের শান্ত হাওয়া ভীষণ ক্লান্তিময়।
যেমন ক্লান্তি ভালোবাসায় পঁচিশ বছরে আসে,
দায়িত্বরাই পড়ে থাকে প্রেমের অবশেষে।
সংসার শুধু বাজার-করা, রান্না-অফিস পংক্তি,
প্রয়োজনহীন মৌনতার নিয়ম থাকে কয়েকটি।
নিয়ম-হিসেব মিলেমিশে বদ্ধ ঘরের প্রান্তর,
পরবর্তী প্রজন্মেও প্রভাব পড়ে মন্থর।
সময় আর দূরত্ব একদিন ছাড়ে বাড়িঘর,
জীবনের ডাকে ঠিকই দূরে সরে যায় সহোদর।
স্কুলপথে যাওয়া ছোট্ট হাত - এখন ভীষণ স্বাধীন,
আঙুলের ফাঁকে পেতে চায় বেমানান নোট রাতদিন।
বাস্তবের এই বাস্তবায়ন অসহ্য লাগে খুব,
মুক্তিবিহীন ধন্দের পঙ্কিল প্রতিরূপ।

Wednesday, June 21, 2017

লিঙ্গবৈষম্য এবং পাবলিক ট্রায়াল - Gender discrimination and public trials

যারা জানেন না বা miss করে গেছেন, তাদের জন্য দুটো সমান্তরাল ঘটনা জানিয়ে রাখা প্রয়োজন। প্রথম, Uber নামক যে app-টা ব্যবহার করেন আপনারা, সেই Uber কোম্পানির CEO Travis Kalanick গতকাল resign করেছেন। দ্বিতীয়, TVF-নামক একটি বিখ্যাত ভারতীয় মিডিয়া কোম্পানি, যেটি ২৫ লক্ষ YouTube ফলোয়ার নিয়ে ভারতের প্রথমসারির ওয়েব-মিডিয়া চ্যানেল, সেই কোম্পানির CEO-ও কিছুদিন আগে পদত্যাগ করেছেন। দুটি পদত্যাগেরই পিছনে আছে একই ধরণের ঘটনা।

কেন করলেন তারা পদত্যাগ? Susan Fowler নামের একজন IT-কর্মী Uber-এ কাজ করতেন। তিনি গত ১৯শে ফেব্রুয়ারী নিজের ওয়েবসাইটে একটি বিস্ফোরক লেখা লেখেন। তাতে তিনি অভিযোগ করেন যে, Uber কোম্পানিতে কাজের কালচার খুবই মহিলাবিরুদ্ধ। মানে মহিলাদের সহ্য করতে হয় তাদের বসের চোখরাঙানি। এছাড়াও মহিলাদের casual sexism-এর স্বীকার হতে হয়। এর পরই ভীষণ শোরগোল পড়ে যায় Uber এবং সিলিকন ভ্যালিতে। Susan-এর পরে আরো অন্যান্য মহিলারা (কেউ স্বনামে, কেউ নাম গোপন রেখে) একই অভিযোগ করেন Uber-এর কালচারের বিরুদ্ধে। এমনকি Uber-এর CEO এই কালচারকে nurture করেছেন, সেই অভিযোগ পর্যন্ত ওঠে। শেষ পর্যন্ত, কাল প্রায় ৪ মাস বাদে, Uber-এর CEO Travis পদত্যাগ করলেন।

TVF-এর ঘটনাও অনেকটা এরকমই। মার্চ মাস নাগাদ একটি মেয়ে তাঁর পরিচয় গোপন রেখে TVF-এর CEO অরুনাভ কুমারের দিকে sexual favor চাওয়ার অভিযোগ তোলেন। একটি ব্লগে তিনি তার ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। এরপরে অনেকেই সেই অভিযোগের সমর্থনে এগিয়ে আসেন (স্বনামে এবং নাম গোপন রেখে)। Mumbai-এ FIR হয়, যদিও তার কোনো ফয়সালা হয়নি। কিন্তু অরুনাভ কিছুদিন আগে TVF-এর CEO পদ থেকে সরে গিয়েছেন।

এই দুটি ঘটনাতে যেটা খুব গুরুত্ত্বপূর্ণ, সেটা হল ওয়েব মিডিয়ার মাধ্যমে গোপন তথ্য বেরিয়ে আসা এবং তার বিপুল প্রচার পাওয়া। প্রচার পেতে টুইটার এবং ফেসবুক - দুটো মাধ্যমই প্রচুর সাহায্য করেছে। কিন্তু সামগ্রিকভাবে, মানুষের হাতে যে কি ভীষণ পরিমান ক্ষমতা এখন রয়েছে - তার একটা আভাস এই দুটো ঘটনা থেকে পাওয়া যায়। মনে করিয়ে দেওয়া ভালো, Uber এখন সারা বিশ্বের অন্যতম highest valuable start-up কোম্পানি। সেই কোম্পানির CEO-কে সরিয়ে দেওয়ার মতো ক্ষমতা সাধারণ মানুষের হাতেও এখন থাকছে। তাই ইন্টারনেটের এই বিপুল সম্ভাবনা - প্রযুক্তি এবং বিজ্ঞানের এক ভীষণ উজ্জ্বল দিক।

কিন্তু এর সাথেই থেকে যাচ্ছে একটি সংশয়ের প্রশ্ন। দুটি ঘটনার কোনোটাতেই, কোনো কোর্টে এই অভিযোগগুলোর বিচার হয়নি। ফলে যা হয়েছে, তা হল সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনা, বিচার, সমালোচনা, এবং কোম্পানির জনপ্রিয়তা কমে যাওয়া - এইসব। তাই বোঝা যাচ্ছে, মানুষের হাতে বিপুল ক্ষমতা আসার ফলে এক বিশাল দায়িত্ত্বও এসে পড়ছে। যদিও এ কিছু নতুন কথা নয়। কিন্তু আবারো মনে করিয়ে দেওয়া দরকার, আমাদের স্মার্টফোনগুলোর সাথে যতটা ক্ষমতা আমরা পকেটে নিয়ে ঘুরছি, আমরা যেন তাকে যথাযোগ্য দায়িত্ত্ব নিয়ে ব্যবহার করতে শিখি। নাহলে বিচার কিন্তু বড্ড বেশি একতরফা হতে শুরু করবে, সেই আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

নোট: এই লেখার পিছনের ভাবনা আমার নিজের নয়, বিভিন্ন ওয়েবমিডিয়া থেকে জড়ো করা। ভাষা আর বিস্তৃতি আমার।

Tuesday, June 20, 2017

গানে একদিন - Day in Songs

সকালে উঠতেই "ভোরের কুয়াশা" ঘুমের ঘোর কাটিয়ে দিল, যদিও জানালার বাইরে কুয়াশা ছিল না। এর বেশ কিছুটা পরে, অফিসে যখন git-এর branch manage করতে করতে আমি নাজেহাল, তখন হঠাৎই "দুপুরের খামোকা খেয়াল" মাথায় এলো। কয়েক ঘন্টা বাদে অফিস থেকে বেরিয়ে, ট্রেনের পর যখন বাসের দিকে এগোচ্ছি, শুনতে পেলাম কেউ গাইছে, "বন্ধু তোমায় এ গান শোনাবো বিকেলবেলায়।" এখন রাতের আকাশ বেশ পরিষ্কার, তাই সেখানে চলছে "আমার ভিনদেশি তারা"-দের আনাগোনা। চাঁদটাকে যদিও দেখতে পাচ্ছি না, হয়তো "চন্দ্রবিন্দু"-র আকার নিয়ে কোথাও লুকিয়ে রয়েছে।

Friday, June 09, 2017

ব্রিটেনের ২০১৭ স্ন্যাপ নির্বাচনে লেবারের সাফল্য - Labour's success in Britain's 2017 Snap Election

মানুষ, হ্যাঁ মানুষই পারে ইতিহাস রচনা করতে। যতবার ভাবি, আর কোনো আশা নেই, ততবার বৃহত্তর সমাজ ভাবতে শিখিয়েছে, না এখনো বাকি কিছু আছে। যেরকমভাবে United Kingdom (UK)-এ গতকাল ঘটে যাওয়া নির্বাচন বেশ কিছুটা আশার কথা শুনিয়ে গেল।

UK-তে প্রধান দুটি পার্টি, Conservative এবং Labour-পার্টির মধ্যে Labour, গতকালকের নির্বাচনে বেশ ভালো ফল করেছে, ৪০% ভোট নিয়ে। ৪২% ভোট পেয়েছে বর্তমানে ক্ষমতায় থাকা conservative. এই নির্বাচনে কোনো দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি, তবে Labour-এর এই ফলাফলের অন্য এক গুরুত্ব আছে। UK-এর দুটো পার্টিই দক্ষিণপন্থী ঘেঁষা পার্টি। আমরা জানি, Labour-এরই Tony Blair কিভাবে বুশের সাথে মিলে Iraq war শুরু করেছিলেন, যা ISIS জঙ্গি গোষ্ঠীর জন্মের জন্য একাংশে দায়ী। কিন্তু এই Labour পার্টি Tony Blair-এর পার্টি নয়। এই পার্টি Jeremy Corbyn-এর। কে এই জেরেমি কর্বিন?

জেরেমি কর্বিন Labour Party-এর ক্ষেত্রে সেই, Bernie Sanders আমেরিকার Democratic পার্টির কাছে যা। মানে দুজনেই দক্ষিণপন্থার পার্টিগুলোর ভিতরে বামপন্থী মতাদর্শের প্রবেশ ঘটিয়েছেন। এমনিতে অনেক neoliberal-পন্থীরাও এখন মানতে শুরু করেছেন যে, স্বাস্থ্য, শিক্ষার মতো ব্যাপারগুলোয় সরকারের প্রধান ভূমিকা থাকা উচিত। জেরেমি নিজেও সে কথা বলেছেন। কিন্তু জেরেমি তার নির্বাচনের ম্যানিফেস্টোতে আর একটি দুর্দান্ত clause রেখেছেন। কি সেই clause?

সেখানে বলা হচ্ছে, যখন কোনো কোম্পানি dissolve হয়ে যাচ্ছে, বা বেচে দেওয়ার মতো অবস্থায় চলে যাচ্ছে, তখন তা সরাসরি করা যাবে না। প্রথমে সেই কোম্পানীর কর্মীদের সুযোগ দিতে হবে, সকলে মিলে সেই কোম্পানি কিনে নেওয়ার, as a co-operative. সরকার দরকার হলে loan দিয়ে কর্মীদের সেই কেনায় সহায়তা করবে। কিন্তু সবার আগে কর্মীরা সুযোগ পাবে। বোঝা যাচ্ছে এটার ইঙ্গিত কোন দিকে?

এর মানে Air India বেচে দেওয়ার আগে কর্মীদের জিজ্ঞেস করতে হবে, তোমরা নিজেরা এই কোম্পানি চালাতে চাও কিনা। এর মানে কর্মীদের সমষ্টিগতভাবে, উৎপাদনের শিকড়টা অধিকার করার সুযোগ থাকছে। কিছু কথা শোনা শোনা লাগছে কি? "Seize the means of production"? আমি আশা করি না, বিপ্লব একদিনে চলে আসবে। আমি চাই না, রক্ত বিপ্লব নিয়ে আসুক। রক্ত হয়তো কিছু ঝরবে, কিন্তু আমরা সকলে মিলে সচেতন ভাবে চেষ্টা করলে, প্রকৃত পরিবর্তন আসতে পারে। তার জন্য সচেতনতা দরকার, পার্টি দরকার, লিডার দরকার, কিছু Bernie Sanders, Jeremy Corbyn-দের দরকার, আর নতুন ভাবনাচিন্তা করবার মতো ছেলেমেয়েদের দরকার। সেই নতুনরাই বার্নিকে ভোট দিচ্ছেন, জেরেমিকে ভোট দিচ্ছেন, আরো আশা দেখাচ্ছেন। সব কিছু শেষ হয়নি বন্ধুরা! শেষ হতে পারে না...

Thursday, June 08, 2017

কষ্ট না থাকার কষ্ট - Pain of not having the pain

কষ্টটাও আর না থাকার কষ্ট হয় সামান্য মাঝে মাঝে। সময়ের উপরে অভিযোগ বলতে স্রেফ ওটুকুই...

গন্ধ - Smell

পঞ্চইন্দ্রিয়ের কাজগুলোর মধ্যে দেখা আর শোনা-কে আমরা বেশ ভালোভাবে digitally replicate করতে পারি। কিন্তু খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা অনুভূতি, গন্ধ আহরণের ক্ষেত্রে আমরা বেশ অসহায়। বিভিন্ন perfume-এর মাধ্যমে আমরা চেষ্টা করেছি ভালো গন্ধগুলোকে বোতলবন্দি করার, কিন্তু বেশিরভাগ গন্ধই তো পারিনি। যেমন, সেদিন apartment থেকে বেরিয়ে রাস্তায় নেমেই মনে হল, উষ্ণতার কি গন্ধ হয়? তাহলে সে গন্ধ ভুলতে বসেছি।

উষ্ণতার গন্ধ কি কলকাতারও গন্ধ? তাহলে সেই কলকাতার গন্ধই বা ঠিক কি রকম? সেটা কি আরসালানের বিরিয়ানির গন্ধে শুরু হয়? নাকি যে ভিড়-বাসে করে, সন্ধ্যেবেলা কলকাতা থেকে হাওড়ায় ফিরতাম, সেই ভিড়ে দাঁড়ানো তন্বীর ফিকে-হতে-থাকে পারফিউম, আর বসের-ঝাড়-খাওয়া মধ্যবয়স্ক কোনো মানুষের সারাদিনের ক্লান্তির গন্ধের মিশেল? নাকি অন্য কিছু? গড়িয়াহাট থেকে প্রিয়া পর্যন্ত হেঁটে আসার সময়ে, দক্ষিণের আধুনিকতা, রেস্টুরেন্ট, শাড়ি, পাঞ্জাবি, ফুটপাথ, কম দামের জামাকাপড়, মিষ্টি, প্রেমিকার নখের নেলপলিশ, ফুচকার সমন্বয়ে তৈরি হওয়া গন্ধই কি উষ্ণতাকে মনে করায়? সেরকমটা হলে, তাপমাত্রা আর উষ্ণতার সম্পর্ক বোধ হয় শুধুই বৈজ্ঞানিক।

রসায়ন বিজ্ঞান বা কেমিস্ট্রির ল্যাবের গন্ধগুলোকে তাও আমরা নিজেরা চাইলেই তৈরি করতে পারি। কিন্তু নিজের বাড়ির গন্ধ? যেখানে ঢুকলেই প্রথম পাওয়া যায় মায়ের গন্ধ। এই গন্ধ বোধ হয় আমি একাই পাই। আর এই গন্ধকে ভাষায় ব্যক্ত করার মতো শব্দ, আমার অভিধানে নেই। তাই অন্য কেউ সে গন্ধ আমার কাছে এনেও দিতে পারবেনা। তবে যখন ওই লাইনগুলো শুনি, "মায়ের শাড়ি রেলিং থেকে ঝোলে", তখন কাছাকাছি একটা গন্ধের সন্ধান যেন পাই।

গান যেমন কখনো আঘ্রানের ছোঁয়া দেয়, অপ্রত্যাশিত মুহূর্তরাও তেমনি বেহিসেবি গন্ধদের বয়ে আনে। বহুমাস আগে একদিন হঠাৎই, স্নান করার সময়, মাথায় খেলে গেলো এক প্রাক্তন প্রেমিকার গন্ধ। তখন আবারও বুঝেছিলাম, নতুন "বাইশে শ্রাবণ"-এর গানটার কথাগুলোর মানে। সেই ছবিটাতে প্রসেনজিতের নাকি ক্রিমিনালদের গন্ধই প্রিয় ছিল। কিছু মানুষ বোধ হয় এরকমই হয়।

কিন্তু আমরা অনেকেই বৃষ্টিভেজা মাটি, পেট্রোল, নতুন খাতা, জামাকাপড়, খাবার - এসবের গন্ধ ছাড়িয়েও কোনো না কোনো অজানা গন্ধের মোহতে মাতোয়ারা। আর সেসব গন্ধকে বেঁধে রাখার ইচ্ছেও নেই, কারণ তারা তো অনুভূতি। অনুভূতি খোলা আকাশেই ছড়িয়ে থাক, "পারিজাতের মধুর গন্ধ"-এর মত।

Thursday, June 01, 2017

আমেরিকার প্যারিস ক্লাইমেট এগ্রিমেন্ট থেকে প্রস্থান - America's Exit from Paris Climate Accord

এলিয়েনরা যখন পৃথিবীর ধ্বংসাবশেষ পাবে, তখন তারা পৃথিবীর ইতিহাসে আজকের দিনটার গুরুত্ত্ব বেশ ভালো করে বুঝবেই। পৃথিবীকে রক্ষা করার আশা ক্রমশই কমছিল। আজ মোটামুটি শেষের দিকে যাত্রা শুরু হল। জানিনা, আর সামান্যও আশা আছে কিনা !

যে দেশটা সারা বিশ্বের ১৬% গ্রীন হাউস গ্যাস উৎপন্ন করে, বিশ্বের ২০% তেল খরচ করে, বিশ্বে মাথাপিছু energy consume করায় প্রথম, সেই দেশটাই আজ ঘোষণা করেছে, তারা নিজেদের Paris Climate Agreement থেকে সরিয়ে নেবে । এই Paris Agreement-এর মাধ্যমেই বিশ্বে fossil fuel ব্যবহার-করা বৃহৎ অগ্রণী দেশগুলি, নিজেদের fossil fuel consumption কমাবে বলে অঙ্গীকার নিয়েছিল। আমেরিকার জন্য সেই অঙ্গীকারটুকুর বাঁধনটাও আর রইলো না। মানে আবহাওয়া নিয়ে কোনোরকম আইনের বালাই নেই।

এর মানে Exxon Mobile, Chevron-এর মতো আমেরিকান কোম্পানিগুলি বিনা বাধায় প্রকৃতির ধ্বংসলীলা চালিয়ে যেতে পারে। অথচ গুগল, মাইক্রোসফট, স্পেস এক্স-এর মতো টেকনোলজি কোম্পানিগুলো প্রচুর চেষ্টা করেছিল, আমেরিকা যাতে Paris Agreement থেকে বেরিয়ে না যায়। যদিও এদের চেষ্টার খুব সৎ উদ্দেশ্যে ছিল না, কিন্তু সমস্যা এখন সেসবের বহু ঊর্ধ্বে চলে গেছে। তাই সেই উদ্দেশ্য নিয়ে এখানে বলছি না। যেখানে পৃথিবীটাই বাসযোগ্য থাকছে না, তো আর কোনো "ইসম"-এর কি-ই বা মানে !

শেষে বলি, পরবর্তী প্রজন্মকে পৃথিবীতে আনার আগে, বেশ ভালো করে একবার ভেবে নেবেন। কারণ আজ যা কিছু হচ্ছে, তার মূল আঁচটা ওরাই পেতে চলেছে, আমাদের কথা বাদ-ই দিন। কিন্তু পরবর্তী প্রজন্মের কথাই যখন উঠলো, তাই একটু আশার আলোর দিশা দিয়ে যাই। Massachusetts রাজ্য হিসেবে আজই ঘোষণা করেছে, দেশ যদিও Paris-এর চুক্তি মেনে না নেয়, তারা এই রাজ্যে ওই চুক্তি মেনে চলবে এবং renewable energy-এর ওপর জোর দেবে। তবে এই আশা, ঠিক যেন নিভতে থাকা প্রদীপের মতো, যার মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী।