Friday, September 19, 2025

First they came for, in 2025

Santa Clara, CA, USA

First, they came for women,

and I said nothing, for I was a man.


Then, they came for the Blacks,

and I said nothing, for I was not Black.


Then they came for the Muslims,

and I said nothing, for I am a silent Islamophobe.


Then they came for the Chinese,

and I said nothing, for I mocked them as “Cheeni.”


Then they came for the Mexicans,

and I said nothing, for I was not Mexican.


Then they came for the Indians,

and I said nothing, for Elon was supporting and Modiji.


Then they came for the Palestinians,

and I said nothing, for I am not a Palestinian.


Then they came for the illegal immigrants,

and I said nothing, for my papers were clean.


Then they came for the H1Bs,

and I said nothing, for I already had a green card.


-- Now --


Then they came for the green card holders,

and I said nothing, for I had my US passport.


Then they came for the naturalized citizens,

and I looked around, 

there were all white supremacists,

and no one spoke out.

Sunday, May 18, 2025

পশ্চিমবঙ্গের "অরাজনৈতিক" ধর্মীয় ভাঁড়ামো

এই বছর জানুয়ারি থেকে মার্চ অব্দি, প্রায় দেড়মাস, বাড়িতে ছিলাম। প্রচুর বন্ধুবান্ধবের সাথে দেখা হল, বেশ অনেকটা সময় নিয়ে সবার সঙ্গে অনেকক্ষণ ধরে আড্ডা হল। আত্মীয়স্বজনদের সাথে গল্প করে সময় কাটলো, অনেকের বাড়ি গেলাম, বেশিরভাগেরই যাওয়া হল না। প্রচুর খাওয়া দাওয়া হল, বেশি করে বিরিয়ানি, কারণ এর মাঝে বেশ অনেকদিন দেশে ফেরা হয়নি। একদিন আরশিকে নিয়ে বইমেলায়ও গেছিলাম। সলিল চৌধুরীর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে যে বইটা প্রকাশিত হয়েছে, সেটা পেয়েও গেলাম। যদিও আমাদের বাংলায় বই পড়ার লোকের সংখ্যা এখন খুব কম। কেউ আলোচনাও করে না বই নিয়ে। অথবা কেউ নিজের কাজকর্ম নিয়েও খুব একটা কথা বলে না। মাইনে বা রিমোট ওয়ার্ক কিনা - কাজের কথা বলতে ওটুকুই। তবে তাই বলে কথা বলার বিষয়ের অভাব নেই।


খাওয়া দাওয়া চিরকালই অন্যতম প্রধান আলোচনার বিষয় ছিল আমাদের কথাবার্তায়। সাথে ছিল রাজনীতি, সেটা নিয়ে এখন আর কারোর বোধ হয় বিশেষ কিছু বলার নেই। তাই কথা বলার বিষয়ের একটা অভাব ছিল, সেটা অচিরেই পূরণ করে দিয়েছে নতুন করে আলোচ্য এক বিষয় - ধর্ম। দুর্গাপুজো ছাড়া কোনো ধার্মিক অনুষ্ঠান বা ঘটনা নিয়ে বাঙালির এতো আলোচনা হতে, এর আগে দেখিনি বা শুনিনি, যা দেখলাম এবারের কুম্ভ মেলা নিয়ে। দুর্গাপুজোকে তো বাংলায় ধার্মিক অনুষ্ঠান বলাও যায়না, সর্বজনীন সামাজিক অনুষ্ঠান এটা - সুতরাং বলাই যায়, কোনো ধার্মিক অনুষ্ঠান নিয়ে এই প্রথম এরকম একটা পাগলামি দেখলাম। সব থেকে আশ্চর্যের, এই আদ্যন্ত ভাঁড়ামোটা নিয়ে বড় থেকে ছোট সকলে সিরিয়াস আলোচনা করছে। মানে কুম্ভের মানে কি, মহা-ছোট-মেজ কুম্ভের কোনটা কত বছর পর আসে, কত বার মাথায় জল ঢালতে হয় - এসব কিছু। আগে এসব আলোচনায় কেউ কিছু একটা বলে ব্যাপারটা খিল্লি করে দিতো, এখন আর সেসবের ব্যাপার নেই।


এই কুম্ভের আলোচনা ছাড়া, চাকরি কাজকর্ম ভবিষ্যৎ - এসব নিয়ে একটা অসম্ভব আত্মবিশ্বাস সকলের মধ্যে আছে যে - বাংলায় কোনো কিচ্ছু হওয়া সম্ভব নয়। হয় অন্য রাজ্য, নতুবা সুযোগ বা সংস্থান থাকলে বিদেশ। যেটা আগেই অন্য একটা লেখায় বলেছি যে - মনে মনে বেশিরভাগ বাঙালি অনেক আগেই রাজ্যত্যাগ করেছেন, দেহটা পড়ে আছে কোনো একটা পিছুটানের জন্য। সেই বাঙালি এখন আবার ধর্ম নিয়ে আচ্ছন্ন - আমরা সোজা একেবারে পিছনে দিকে ছুটছি, বিংশ শতাব্দীরও আগে চলে যাচ্ছি। আধুনিক বাংলার এই যে সামাজিক ভিত্তি একদম গোড়া থেকে বদলে গেছে, এটাই মমতা ব্যানার্জির সব থেকে বড় লেগাসি হতে চলেছে। শুধু তাই নয়, ভবিষ্যতে যে কোনো সমাজবিজ্ঞানের ক্লাসের বিষয় হবে পশ্চিমবঙ্গের ২০০৮ পরবর্তী সময়। এই সময় দেখিয়ে দেয় যে, কিভাবে অর্থনৈতিক উন্নতিকে পিছনে ফেলে রাখলে, ধর্মান্ধতা যেকোনো জাতিকে, তা সে যতই সংস্কৃতি বা বিজ্ঞান-মনস্ক হোক না কেন, গ্রাস করতে পারে।


লেখার এই অংশে একটা "নবারুণ" কোট করাই যেতে পারে, "এই মৃত্যু উপত্যকা আমার দেশ নয়" ইত্যাদি, বহুদিন বাইরে থাকি বলে অযাচিতও লাগবে না, কিন্তু সেটা খুব ধূর্ত পলায়ন হয়ে যাবে। বরং বলব, এইটাই আমার দেশ। আমি আগে যে বন্ধুবান্ধব আর আত্মীয়দের কথা বলছিলাম, তাঁদের প্রতিচ্ছবিতেই দেখছি আজকের বাংলাকে। কিন্তু তার মাঝে থেকেই বলতে হবে, কুম্ভ মেলা আর দীঘার মন্দির একটা বড়সড় ভাঁওতা আর খিল্লি। বিজেপি ও তৃণমূলের নেতারা এখন এই ধর্মের রাজনীতিটি চালাচ্ছেন। এতে হয়তো অনেকের খারাপ লাগতে পারে। কিন্তু যখন তাঁরা গত ১৫ বছর ধরে "অরাজনীতি" আর "লেসার ইভিল"-এর খেলা খেলে "এই দেশেতেই" থাকবেন বলছিলেন, তখন অনেক রাজনৈতিক কথাই তাঁদের পোষায়নি। তাঁদের এই অরাজনীতি করা থেকে তৃণমূল হয়ে বিজেপি/আর.এস.এস/হিন্দুত্ব সফরটা খুব ভালো করে দেখে আসছি। 


এখন তাঁদের বোঝা দরকার যে, তাঁদের ধর্মীয় কথাবার্তাই তাঁদের রাজনীতিকে প্রকাশ করছে। আর তাঁদের প্রত্যেকটা রাজনীতির বিরোধিতা, ভোটের হারজিত ব্যতিরেকে, বহুকাল আগে থেকেই আমার মতো অনেকেই করে আসছে। তাই রাজনৈতিক ময়দানের মতপার্থক্য মেনে নিয়েই তাঁদের সহাবস্থান করতে হবে। উপত্যকা মৃত্যুর হোক বা জীবনের, আমরা মৃত্যু অব্দি এখানেই আছি, ময়দানেই - সে আপনারা অরাজনৈতিক, তৃণমূল বা বিজেপি - যাই হোন না কেন।