দীপক মন্ডল ক্লাসের মাঝারি মাপের ছাত্র। প্রথমবার সরকারি চাকরির পরীক্ষায় বসে ভালো ফল করতে পারেনি। যদিও সংরক্ষণের সুবিধা অনুসারে তার চাকরি হয়ে যায়, কিন্তু সে কখনোই ওই সুবিধে নেয়নি। তাই অনেক খেটে, পড়াশোনা করে দ্বিতীয়বার আবার চাকরির পরীক্ষা দেয় এবং ভালো ফল করে। তারপর সরকারি দপ্তরে জেনারেল কোটাতেই তার চাকরি হয়। সরকারি চাকরি পাবার পর খুব খুশি ছিল দীপক। ভেবেছিল এবার সে সুলগ্নাকে বিয়ে করতে পারবে। সুলগ্না তার কলেজের প্রেম, সুলগ্না চক্রবর্তী। কিন্তু সুলগ্নার বাড়ি থেকে এই বিয়েতে রাজি হয় না। কারণ দীপক SC, আর সুলগ্নারা ব্রাহ্মণ। সুলগ্নার বিয়ে ঠিক হয় সপ্তর্ষি ভট্টাচার্যের সাথে। সুলগ্না দীপককে ভালোবাসলেও বাবা-মা-র ইচ্ছের বিরুদ্ধে যেতে পারেনি, সপ্তর্ষিকেই বিয়ে করে ও। সুলগ্না এখন ভালই আছে।
সুলগ্নার স্বামী সপ্তর্ষি একটা প্রাইভেট ফার্মে কাজ করে। সেই ফার্মেরই রাইভাল ফার্মে দীপকের বন্ধু আলাউল কিছুদিন আগে অ্যাপ্লাই করেছিল। আলাউল অ্যাপ্লাই করার পরেও কল পায়নি ফার্মটা থেকে। দীপক জানত আলাউল-এর যা প্রোফাইল, অন্তত ইন্টারভিউর জন্য ওকে ডাকা উচিৎ। দীপকের অন্য কিছু বন্ধুও ওই একই ফার্মেই কাজ করতো। দীপক তাদের কাছ থেকে খোঁজ নিয়ে জানতে পারে, আলাউল-এর শুধুমাত্র নামটা দেখেই নাকি ওকে বাছাই তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছ।
আগে আপনারা দীপক মন্ডল আর সুলগ্না চক্রবর্তীর ভালোবাসার বিয়ে সুরক্ষিত করুন। আগে আলাউল ইসলামকে সমাজে প্রাপ্য সম্মান আর মর্যাদাটা দিন, তারপর না হয়, আমরা সরকারি ক্ষেত্রে ওদের সংরক্ষণ তোলার ব্যাপারে ভাববো।
আগে আমাদের রাজ্যের পার্টি, সরকার এবং অন্যান্য প্রভাবশালী জায়গায় দীপক মন্ডল আর আলাউল ইসলামদের প্রতিনিধিত্ব বাড়ুক, আগে বুদ্ধদেব "ভট্টাচার্য", মমতা "ব্যানার্জী"-এর ব্রাহ্মণ্য এলিটিজম বন্ধ হোক, তারপর নয় সংরক্ষণে ঠিক কি কি সুবিধে SC/ST-রা বেশি পাচ্ছে, সেটা ভাবা যাবে।
No comments:
Post a Comment