Wednesday, November 09, 2016

ট্রাম্পের জয় - একটি অন্য দৃষ্টিভঙ্গি - Trump's Win - A different perspective

খুব ইচ্ছে করছিল, "পার্লামেন্ট শুয়োরের খোঁয়াড়"-জাতীয় কথা লিখে দিতে বা Bernie Sanders-এর একটা মুচকি হাসির ছবি share করে দিতে। কারণ বেশ ওটুকু করলেই চলত এই election result-এর জন্য। কিন্তু কিছু কথা না জানালে এবং সবথেকে বড় ব্যাপার, কিছু কথা গ্রন্থিত করে না রাখলে, সেটা আজকের সময়ের প্রতি অন্যায় হবে। বড় লেখা, ইচ্ছে থাকলে আর সময় না থাকলে, "save" বলে একটি feature দেয় facebook, প্রত্যেক পোস্ট-এর Top-right corner-এ।

একদম প্রথমেই বলতে হয়, কোনো দেশে থেকে সে দেশকে চেনা আর globalization-এর যুগে সেই দেশের বাইরে বসে সে দেশকে চেনার মধ্যে অন্যতম পার্থক্য হচ্ছে - সেই দেশের মানুষের সরাসরি প্রতিক্রিয়া পাওয়া, যেটা শুধুমাত্র সে দেশে বসেই পাওয়া সম্ভব।

আমেরিকান একটি culture আছে, তা হলো খুব private circle ছাড়া রাজনীতি নিয়ে আলোচনা না করা। অনেকদিনের একটি silent rule বলা যেতে পারে। কিন্তু এখানে এসে থেকেই বুঝতে পেরেছি, মানুষ সেই tradition ভেঙে বেরিয়ে আসতে চাইছে যেন। obviously, আমি দেশের অন্যান্য জায়গার মানুষের সাথে কথা বলিনি। কিন্তু Boston-এ, মানুষের মধ্যে এই বাঁধন ভাঙার প্রবণতা লক্ষ্য করেছি। সেটা কোনো social science-এর teacher-ই হোক, বা কোনো furniture দোকানের কর্মী। সকলে রাজনৈতিক ভাবে সচেতন শুধু নয়, তাদের মতামত openly বলতেও দ্বিধা করছেন না। এই ধরণের রাজনৈতিক সচেতনতা একটা সমাজের পক্ষে ভালো লক্ষণ। কিন্তু সেই সমাজকে অন্তত তাদের উপযুক্ত leader-কে বেছে নেওয়ার সুযোগ দিতে হবে।

আমরা বাইরে থেকে বলে দিতে পারি, "A nation gets the leader it deserves". হ্যাঁ, অবশ্যই তাই। কিন্তু এই দেশ আজ যেটা পাচ্ছে, সেটা তাদের এখনকার choice-এর ফল তো নয়। এখনকার তাবড় তাবড় মানুষ হয়তো Donald Trump-এর মত মানুষকে চাননি, কিন্তু তাদের কাছে establishment-কে challenge জানানোর মতো আর কাউকে দেওয়াই তো হলো না। তাহলে তারা কি করবেন, তারা তো নিজেদের এই শোচনীয় অবস্থায় পড়ে থাকতে পারেন না, শুধু এটা ভেবে যে বাকি পৃথিবীর কি হয়ে যাবে যদি Trump-এর মত কেউ ক্ষমতায় আসেন। তাদের তো নিজেদের জীবনকে উন্নত করার চেষ্টাটা চালাতে হবে। তারা সেই খড়-কুঁটো আঁকড়ে ধরেছেন।

কিন্তু এখানে এটা তো পরিষ্কার যে কি বিশাল সংখ্যক মানুষ বলছেন যে, না আমরা এই establishment-এর বিরুদ্ধে। এভাবে আমাদের উন্নতি সম্ভব হচ্ছে না। তাই দুই পার্টির দুটি candidate-এর মধ্যে যে ব্যক্তি, standard rule-গুলির ওপর সবথেকে বেশি আঘাত করছে, তাকেই আমরা প্রাধান্য দেব। আমেরিকানরা কিন্তু একজন world-leader choose করছেন না। বেছে নিচ্ছেন নিজেদের বাঁচার উপায়, নিজেদের দেশের রাষ্ট্রপতি।

কিন্তু কিভাবে এলো এই সময়? খুব সহজ ভাষায় বলি, ছোট্ট করে। 1980-90, আমাদের সারা পৃথিবীর সামনে খুলে গেল উদারবাদের নয়া দিশা। ভারতের মতো দেশগুলিতে নতুন upscale jobs। আমেরিকানরা সেই নীতি সমর্থন করলেন। ব্রিটেনেও তাই হলো। ভারত কয়েক ধাপ এগিয়ে গেল। কিন্তু আমাদের system, unforunately যে একটি zero-sum-game, মানে কেউ এগোলো তো কাউকে পিছাতে হবে। আমেরিকানরা সেই সময় থেকে কাজ হারাতে থাকেন। তাদের salary সেই সময় থেকে stagnant। সুতরাং সেই ভুলের দাম তো তাদের দিতেই হবে, যে তারা তাদের সরকারের মাধ্যমে সেই যুগে তাদের কাজগুলোকে কম দামে developing world-এ পাচার করে দিয়েছিল আর, company গুলোকে মুনাফার সুযোগ করে দিলো। সেই দাম তারা এভাবেই দিলেন।

কিন্তু একটু ভাবুন, কি প্রবল সম্ভাবনার কথা বলে যাচ্ছে এই সব election-গুলো। মানুষ তারস্বরে বলছে, আমরা এই সিস্টেমের প্রতি আর বিশ্বাস রাখতে পারছিনা, এর জন্য তারা যে কোনো এক extreme প্রান্তে চলে যেতেও প্রস্তুত। ভারতের মানুষের কাছে শুধুই BJP as the choice, মানুষ বললেন, তাই সই, যতই আমাদের প্রধানমন্ত্রী আগে যা-ই করে থাকুন। গ্রিসে মানুষ আবার বেছে নিলেন বেশি বামপন্থী একটি দলকে, তাদের কঠিন সময়ে। স্পেন-এ একটি far-right party অনেক বেশি seat পেল, ইউরোপের বিভিন্ন দেশেও সেই extremism-এর ছায়া। আমেরিকাও সেই একই global-trend থেকে আলাদা নয়।

শেষ করবো আর কয়েকটা কথা দিয়ে, 1930-এ একটি বড়োসড়ো financial depression হয়েছিল এই আমেরিকায়। আজকের 2008-এর থেকেও অনেক বড়। সেই সময় এখানকার communist, socialist পার্টিগুলো খুব পপুলার হয়ে গেছিল। trade union আন্দোলনও জোরকদমে চলে। এইসব তখনকার বড়লোকেরা একদমই ভালো চোখে দেখেননি। communist, socialist সহ সকলকে ban করা হয় রাশিয়ার সাথে connection আছে, সেই অভিযোগে। আর এখন কিছুদিন আগে, একজন নিজেই claim করা democratic socialist, প্রায় presidential candidate হয়ে যাচ্ছিলেন। এই পরিবর্তন কিন্তু হচ্ছে, এবং তা হচ্ছে, এতদিন ধরে communist জুজু দেখানোর পরেও।

এখানে কিছুদিন আগে Harvard University-তে একটি কর্মী আন্দোলনে কর্মীরা তাদের ন্যায্য দাবির আন্দোলন চালিয়ে শেষ পর্যন্ত জয়ী হয়েছেন।
আমি সেদিন train-এ করে কলেজ যাচ্ছিলাম। দাঁড়িয়ে ছিলাম। হঠাৎ শুনলাম দূরে দুটি White ছেলের কথোপকথনে "Communism" কথাটা উঠে আসছে। লেনিন বলেছিলেন, একটি পার্টির মাধ্যমে আমরা হয়তো পৌঁছে যাবো utopian সমাজের লক্ষ্যে, কিন্তু মানুষ যদি তাদের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে সচেতন হন, সেটুকু খুব খুব জরুরি। সেটা কিন্তু মানুষকে হতেই হচ্ছে, বিলাসের মায়াজাল ছাড়িয়েও। আমার কাছে কোনো পার্টি, বা কারো জয়ের থেকেও, system-কে আঘাত করাটা বেশি আশাজনক।

No comments:

Post a Comment