যারা ধোনির ভক্ত তাদের লেখাটি অবশ্যই পড়তে *অনুরোধ* করছি। আর যারা anti-ধোনি, non-ধোনি বা politically correct, তারা সময় থাকলে পড়তে পা(রেন, রো, রিস)।
"Dhoni, you are in the 11.
....
All the best."
সত্যি কথা বলতে, ওপরের দুটো লাইন শোনা এবং তাদের নিয়ে কি বলা হচ্ছে, সেটা দেখতেই আমার যাওয়া। সেটা নিয়ে পরে বলছি।
মধ্যবিত্ত পরিবারের সাধারণ ছেলে থেকে ভারতের বিশ্বকাপ-জয়ী ক্রিকেট অধিনায়ক - সত্যিই বেশ রোমহর্ষক কাহিনী। সিনেমা দেখতে যাওয়ার আগে অন্তত বেশিরভাগ দর্শকের এই আশাই থাকবে। সাথে নীরজ পান্ডের ছবি, আগের প্রত্যেকটা সিনেমাই গড়পড়তা হিন্দি সিনেমার থেকে অনেক ভালো। কিন্তু এখানে এসেই ভুল হয়ে গেলো।
প্রথমত, সিনেমাটি অহেতুকভাবে বড়। ৩ ঘন্টা খুব বেশি লেগেছে।
দ্বিতীয়ত, সিনেমাটা বাজারি করতে গিয়ে প্রচুর প্রেমঘটিত ঘটনা ঢোকানো।
তৃতিয়ত, অনেক facts বলা হয়েছে, কিন্তু সেগুলোকে ঠিকঠাক connect করা হয়নি।
চতুর্থত, এতো বাজে graphics-এর কাজ আজকালকার দিনে আমি দেখিনি। এতো খারাপ ভাবে সুশান্তের মাথা morph করে অন্যের ঘাড়ে লাগানো হয়েছে যে খুবই খারাপ লাগে। তাও শেষের দিকে morphing উন্নত হয়।
মূলত এই চারটি কারণে এটা নীরজ পান্ডের অন্যতম খারাপ সিনেমা। তবে, সুশান্তের অভিনয় এবং ধোনিকে ছবিতে ফুটিয়ে তোলা অসাধারণ। আমার বহু আগে থেকেই সুশান্তকে হিন্দি সিনেমার অন্য mainstream অভিনেতাদের তুলনায় একটু বেশি বুদ্ধিদীপ্ত লাগে। এখানেও বেশ ভালো লাগলো, অন্য কেউ করতে পারতো বলে মনে হয় না।
এবার আসল কথায় আসা যাক। এই সিনেমা কেন হবে? কারণ ধোনি বিশ্বকাপজয়ী ক্যাপ্টেন, ধোনি ফাইনালে গিয়ে হারেন না। উনি মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে লড়াই করে উঠে আসেন, টিটির কাজ ভালো না লাগলে ছেড়ে দেন, "ভারত"-এর একশো কোটি মানুষের জন্য উনি সিনিয়র ক্রিকেটারদের ছেঁটে ফেলেন, উনি advertisement করেন smartly, উনি বাইক চালান তুমুলবেগে। এরকম মানুষই তো বাস্তবের হিরো থেকে পর্দায় হিরো হয়ে যান।
কিন্তু এসব মানুষদের হিরো দেখানোর জন্য controversy-কে ছেঁটে বাদ দিতে হয়, তাই সারা সিনেমা জুড়ে controversial কথাবার্তা হয়তো মেরেকেটে ১০ মিনিট। সেটা হয়তো একজন active player -এর ক্ষেত্রে আরো জরুরি।
আরো যা জরুরি পর্দার হিরো হতে, তা হল, অন্য কারোর achievement-কে focus না করে শুধু হিরোকে হিরো করে তোলা। সেটাও যথেচ্ছ পরিমানে হয়েছে। আমার কোনোটাতেই আপত্তির কোনো জায়গাই নেই। ফিল্মে তো এরকমই হয়।
কিন্তু একটা জায়গার কথা না বলে পারছি না। সেটা ওই একদম প্রথমের দুটো লাইনের জায়গাটা। তখন প্রচুর সত্যিকারের ক্রিকেট দেখতাম। তাই ম্যাচগুলো মোটামুটি ভালো মনে আছে। ওই ওপরের লাইন দুটো ধোনির ইন্ডিয়ান টিমের ক্যাপ্টেন, হোটেলের ফোনে ধোনিকে বলে। যখন ধোনি তার দ্বিতীয় সিরিজে পাকিস্তানের সঙ্গে খেলায় প্রথম দুটো ম্যাচ-এ রান পাননি, তার পরে এবং তৃতীয় ম্যাচের আগে। ধোনি তখন বুঝতে পারছেন না যে তাকে পরের ম্যাচে রাখা আদৌ হবে কিনা ! ছবিতে এরপরে দেখানো হয় যেন ধোনিকে এমনি-ই সেই ম্যাচে তিন নম্বরে নামানো হল। কিন্তু সেটা কি শুধুই দৈববলে হলো নাকি ধোনির তখনকার ক্যাপ্টেন-এর কোনো ভূমিকা ছিল ? যাই হোক, সেই ম্যাচেই ধোনি প্রথম একশো করেন।
যাই হোক, এই ফিল্ম শুধু ফিল্ম হিসেবে একদমই ভালো লাগার নয়, কিন্তু কিছু আবেগের সাক্ষ্মী। এটুকুই এটার থেকে পাওনা। আর ধোনি থাকলেন ধোনির জায়গায়, শুধু আরো একটু বাজারের হলেন। ধোনি legend, আমাদের যে legend-কে ভালো লাগে আমরা choose করে নিই, আমার ক্ষেত্রে সেটা ধোনির প্রথম ক্যাপ্টেনই। চিরকাল ছিল না, কিন্তু আছে, থাকবেও।
No comments:
Post a Comment