শীতকাল শেষ হয়েছে সুপর্ণা,
এবার ওঠো।
চারিদিকে পলাশের রং লেগেছে,
তোমার দেহ থেকেই এসেছে সে রঙ,
ছিটকে পড়েছে আকাশে বাতাসে,
বিবর্ণ ফ্যাকাশে একপেশে পরিবেশে।
সেই রাঙা বসন্তে সিঞ্চিত হচ্ছে মন,
ভেসে যাচ্ছে হৃদয়, জুড়িয়ে যাচ্ছে চোখ।
বইমেলা শেষ করে, সরস্বতী বন্দনার পরে,
আমাদের এখন রক্ত-"রাঙা হাসি রাশি রাশি"।
যদিও রক্ত আমাদের কারোর নয়,
শুধু তোমারই সুপর্ণা।
তোমার কপাল ফেটে যে রক্ত বেরিয়েছে,
তোমরা হাত-পা ছড়ে যে রক্ত বেরিয়েছে,
তোমাকে টেনে হিঁচড়ে ভেড়িতে নিয়ে
যাওয়ার সময় মাটিতে পড়ে থাকা রক্ত,
তোমার ওপর গা-জোয়ারি করার পর
তোমার যোনি থেকে পা দিয়ে
গড়িয়ে পড়া রক্ত।
সেই রক্তের রঙেই আজ বসন্ত রাঙা।
আমরা সেই রঙেই হাসছি সুপর্ণা,
রাশি রাশি সে হাসি,
নাগরিক সেই হাসি,
পাহাড়-জুড়োনো সেই হাসি,
সাগরভাঙ্গা সে হাসি,
সন্দেশখালিতে সীমাবদ্ধ নেই সে হাসি।
আমরা ভীষণ হাসছি সুপর্ণা।
এবার তুমি জেগে উঠে এই হাসি থামিয়ে দাও,
তোমাকে জাগতে হবেই,
নাহলে এই রাঙা হাসি যে কক্ষনো থামবে না,
থামতে পারে না।
---
সোহম